কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির আর্জি, তিনদিনের সংঘর্ষে মৃত ৩০
নিজস্ব প্রতিনিধি , থাইল্যান্ড - দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের সংঘর্ষে ভয়াবহ পরিস্থিতি। অবশেষে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলা তিনদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে শান্তির বার্তা দিল নমপেন। তবে এখনও থাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনও সাড়া মেলেনি।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভোররাতে শুরু হওয়া গোলাগুলিতে উভয় পক্ষই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছেন সেনা এবং বেসামরিক মানুষও। শুধু তাই নয়, সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তবে দুই দেশ এখনও পর্যন্ত একে অপরকে দোষারোপের খেলায় মেতে আছে। কে আগে গুলি চালিয়েছিল, তা নিয়ে একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে দুই দেশই।
এই সংঘর্ষের মূল কেন্দ্র ‘এমারেল্ড ত্রিকোণ’ অঞ্চল যেখানে কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও লাওসের সীমান্ত মিলিত হয়েছে। এলাকাটি ঐতিহাসিকভাবে সংবেদনশীল, এখানে রয়েছে প্রাচীন মন্দির, যা তিন দেশের নাগরিকদের আবেগের সঙ্গে জড়িত। প্রায় পনেরো বছর আগেও একই অঞ্চল নিয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াই হয়েছিল।
জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছেয়া কেও বলেন, ' থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমরা নিঃশর্তভাবে সংঘর্ষবিরতির আর্জি জানিয়েছি। দুই দেশের বিরোধের আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।' কম্বোডিয়া সরকারের দাবি, তাঁরা একতরফাভাবে যুদ্ধ শুরু করেনি, 'থাইল্যান্ড প্রথমে আগ্রাসন চালিয়েছে'।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাংগিয়াম্পোংসা পাল্টা মন্তব্য করেন, ' কম্বোডিয়া যদি সত্যিই শান্তি চায়, তবে সংঘাত বন্ধে তাদের সত্যিকারের আন্তরিকতা দেখাতে হবে।' যদিও এখনো পর্যন্ত থাইল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয়নি।