সব ঠিক থাকলেও বক্ষ যুগল বড় করো, অভিনেত্রীকে অপ্রীতিকর প্রস্তাব পরিচালকের

নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই - চলচ্চিত্র জগতে পরিচালক ও অভিনেত্রীর সম্পর্ক দুই রকমের। একটা ভীষণই স্নেহের, আর অন্যটা ভীষণই বিতর্কের। কিছু পরিচালক অভিনেত্রীকে ভীষণই সম্মান ও স্নেহ করেন। আবার কিছু পরিচালক তাদের পদের অপব্যবহার করে অভিনেত্রীকে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন। কাস্টিং কাউচের ঘটনা নতুন নয়। বহু অভিনেত্রী এই শিকার হয়েছেন। ছাড় পাননি বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুরের মেয়েও। 

পরিচালকের থেকে কুমন্তব্য শোনার পর যদিও চুপ থাকেননি সোনাম কাপুর। ২০০৭ সালে রনবীর কাপুরের বিপরীতে সাওয়ারিয়া ছবিতে অভিনেত্রীরূপে আত্মপ্রকাশ করেন সোনাম। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি। এরপর প্রায় দুই বছর বসেছিলেন তিনি। এরপর দিল্লি ৬ ছবিতে অভিনয় করেন। এরই মাঝে কাস্টিং কাউচের শিকার হন। পরিচালক ভীষণই অপ্রীতিকর মন্তব্য করায় প্রথমে কিছুটা অপ্রস্তুত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় ঠিকই তবে তাকে উত্তম মধ্যম ঝেড়েছেন অভিনেত্রী। 

অত্যন্ত জঘন্য একটি মন্তব্য করে বসেন পরিচালক। সম্প্রতি একটি রিয়েলিটি শোতে সেই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন সোনাম। তিনি বলেছেন, "সাওয়ারিয়া ফ্লপ হওয়ার পর কাজ খুঁজছিলাম। প্রচুর প্রযোজক ও পরিচালকের সঙ্গে দেখা করি। কিন্তু সুরাহা হচ্ছিল না। এরপর বলিউডের এক পরিচালকের কাছ থেকে নতুন এক ছবির প্রস্তাব পাই। চিত্রনাট্য শুনতে তার বাড়ি যাওয়ার পরই এই সমস্যা।"

এরপর বাকি ঘটনা নিয়ে সোনাম বলেছেন, "পরিচালক চিত্রনাট্য পড়ে শোনানোর আগেই আমার দিকে বেশ কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেনা। আমার একটু অস্বস্তিই হচ্ছিল। তারপর হঠাৎ বলেন, 'সবই তো ঠিক আছে কিন্তু তোমার স্তন কবে বড় হবে'।পরিচালকের এই কথা শুনে মাথা আমি মাথা ঠিক রাখতে পারিনি।তাকে বলি, 'আপনার ছবিতে আর কোনদিনও অভিনয় করব না'। এরপর আর এক মুহুর্ত না থেকে চলে আসি আমি। পরে জানতে পেরেছিলাম, সেই ছবিতে আমিশা প্যাটেল অভিনয় করেন।"