ব্যরেজের জল ছারায় বন্যা পরিস্থিতি, প্রাণ ওষ্ঠাগত স্থানীয় বাসিন্দাদের
নিজস্ব প্রতিনিধি , মুর্শিদাবাদ - বেশ কিছু দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন রাজ্যের একাধিক এলাকা। এরই মাঝে তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে বন্যার কবলে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ১ ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিশেষ করে শোচনীয় অবস্থা সুখদানপুর গ্রামের। তিন দিন ধরে গ্রামে নেই বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের পরিষেবা।
সূত্রের খবর, তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ১ ব্লকের সুখদানপুর গ্রামে চার দিক থেকে ঢুকছে বন্যার জল। যার জেরে গ্রামবাসীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে নৌকা এবং গুড়ের কড়াই করে। মঙ্গলবার ভরতপুর ১ এর বিডিও দাওয়া শেরপা এবং ভরতপুর থানার ওসি শিবনাথ মন্ডল বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান। তারা জলমগ্ন গ্রাম গুলি ঘুরে দেখেন ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। শ্যামপুর, গড্ডা, চাঁচোয়া, বালিচুনা, সিংহারি, চাঁদপুর, কোল্লা, জাখিনা, ছত্তরপুর, ইব্রাহিমপুর, হামিদপুর, আঙারপুর-এর মতো গ্রামগুলির বেশিরভাগ মাঠই বর্তমানে জলের তলায়। অন্যদিকে কান্দি-সালার রাজ্য সড়কের অঙ্গারপুর বক্স ব্রিজের কাছে বিপদ এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে লাল কাপড় ও রেডিয়াম স্টিকার লাগিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে রাস্তার বিপদসীমা।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ মাঝির অভিযোগ, "গত তিনদিন ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের পরিষেবা বন্ধ। তবে ভরতপুর বিপিএইচসি-র অন্তর্গত গাড্ডা উপস্বাস্থ কেন্দ্রের স্বাস্থকর্মীরা এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও গ্রামে এসে চিকিৎসা করছেন। তারা বন্যার জল ভেঙে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। আগের বছরও আমাদের এমন পরিস্থিতি হয়েচ্ছিল। ঠিকমত ত্রাণ পাইনি। এবছরও ঠিকমত ত্রাণ আসছে না।"