"সাদা শাড়ি আর ১০০ টাকার হাওয়াই চটি আমাদের কি করবে" - মাঝরাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব গুজরাত পুলিশের
নিজস্ব প্রতিনিধি , পশ্চিম মেদিনীপুর - ভিন্নরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। তখন গুজরাতের সুরাটে ফের বাংলাদেশি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের ১০ যুবককে পুলিশি হেনস্থার ঘটনা সামনে এল। অভিযুক্তদের দাবি, পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের মারধর ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, ভিন্নরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের অত্যাচারের ঘটনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই তিনি বোলপুর ও কলকাতার পথে এই নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে। আর এরই মধ্যে গুজরাতের সুরাটে ফের বাংলাদেশি সন্দেহে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হল বাংলার ১০ জন শ্রমিকদের। এদের মধ্যে ৮ জন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা এবং ২ জন সবংয়ের বাসিন্দা। অবশেষে প্রশাসনের তৎপরতায় শুক্রবার ভোরে তারা নিজের বাড়ি ফেরেন।
বাড়ি ফিরে নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান নির্যাতিত যুবক বুদ্ধদেব বারিক। তিনি বলেন, "সুরাটের ভেন্ডিবাজারে কাজের জন্য যাই। স্টেশনে নামার পর এক হোটেলে উঠি। সবে ঘুমিয়েছি, এমন সময় দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে পুলিশ। আমাদের বাংলাদেশি বলে গালিগালাজ করে, মারধর করে। বুকে ও পেটে লাথি মারে। সন্ত্রাসবাদী বলেও অপবাদ দেয়।"
বুদ্ধদেব জানান, তারা আধার কার্ড দেখালেও পুলিশের সন্দেহ দূর হয়নি। পুলিশের অভিযোগ ছিল, "কলকাতায় নকল আধার কার্ড হয়।" এমনকি পুলিশের কয়েকজন বলে, "ঝুলিয়ে মারতে হবে।" অত্যাচার এতটাই বেড়ে যায় যে একজন পুলিশ আধিকারিক হুমকি দেন, তাঁদের ‘বাংলাদেশে ছেড়ে দিয়ে আসা’ হবে।
লকআপে থাকা অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। তবে পুলিশি নিগ্রহের পরপরই পরিবারের লোকজন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাজ্যের প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে গুজরাত প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয় এবং পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।