ওড়িশায় হকি খেলোয়াড়কে গণধর্ষণ, গ্রেফতার কোচ সহ ৪

নিজস্ব প্রতিনিধি , ওড়িশা - বালেশ্বর থেকে পুরী একের পর এক নারী বিদ্বেষী ঘটনা সামনে আসছে। আর এবার এক উঠতি হকি খেলোয়াড়কে তার কোচ এবং তাদের সহযোগীরা মিলে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। আর এই ঘটনা ফের একবার রাজ্যে রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। 

সূত্রের খবর, প্রথমে বালেশ্বরে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ উঠে কলেজের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় নির্যাতিতা কলেজেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেয়। এর দিন কয়েক বাদেই বালেশ্বরে একটি মেয়ের গায়ে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। আর এই সমস্ত ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ওড়িশায় ফের এক নির্যাতনের ঘটনা। ক্রীড়াক্ষেত্র যেখানে একটি ছেলে বা মেয়ের স্বপ্ন বুননের জায়গা সেখানেই এক মর্মান্তিক ঘটনা ওড়িশার জজপুরে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।এক উঠতি হকি খেলোয়াড়কে তার কোচ এবং তাদের সহযোগীরা মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পাশবিক ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় একটি স্টেডিয়ামে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জজপুর জেলার ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে গত দু'বছর ধরে হকি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল ভুক্তভোগী কিশোরী। গত ৩ জুলাই সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফেরার সময়, অভিযুক্তরা তাকে মাঝরাস্তা থেকে জোর করে তুলে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়েই তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নাবালিকা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় এবং পরিবারের কাউকে ঘটনার কথা না জানানোর জন্যও বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানো হয়।  

সম্প্রতি ওই নির্যাতিতা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে, যার পরেই এই ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গত রবিবার নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণের অভিযোগ-সহ অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে এবং দ্রুত তার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জজপুরের এক পকসো আদালতে মহিলা বিচারকের সামনে নির্যাতিতা গোপন জবানবন্দিও দিয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দুই কোচ সহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।