মহুয়ায় ক্ষিপ্ত কল্যাণ , অভিষেকের হস্তক্ষেপে মিটল পরিস্থিতি
নিজস্ব প্রতিনিধি , দিল্লি - লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের চিফ হুইপ পদ থেকে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। দলের অন্দরেই মতবিরোধের ইঙ্গিতও মিলেছে। জানা গেছে, আগামী ৭ আগস্ট কল্যাণের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে লোকসভায় দলের কার্যকলাপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এই বৈঠকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-কে লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এরপরই চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' আমি চিফ হুইপ ছিলাম। যদি সমন্বয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমার থাকার দরকার কী? আমি ইস্তফা দিচ্ছি। লোকসভায় কেউ না এলে দোষটা আমাকেই দেওয়া হচ্ছে।' তিনি আরও বলেন, 'সহ-সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে বলেছি আমাকে পিছনের সারিতে বসতে দিতে।'
একইসঙ্গে তিনি মহুয়া মৈত্রকে নিশানা করেও বলেন, ' কেউ যদি গালাগাল দেয়, আমি চুপ করে থাকব কেন? দিদি বলছেন আমি ঝগড়া করছি। যিনি তার সহকর্মী সাংসদকে শুয়োরের সঙ্গে তুলনা করেন। আমি যা বলেছি তা হল জনসাধারণের জবাবদিহিতা এবং ব্যক্তিগত আচরণের প্রশ্ন, যার মুখোমুখি হতে প্রতিটি জনসাধারণের ব্যক্তিত্বকে হতে পারে।'
কল্যাণের এক্স হ্যান্ডেলেও দেখা যায় অসন্তোষের ছাপ। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের আঁচ মিলতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে কথা বলেন কল্যাণের সঙ্গে। অভিষেক বলেন, ' উত্তেজিত হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিন দিন পরে আমি দিল্লি যাচ্ছি। তখন আপনার সঙ্গে বিশদে আলোচনা করব। আপাতত চিফ হুইপ হিসেবে কাজ চালিয়ে যান।' আর এর থেকেই স্পষ্ট আপাতত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা দলের পক্ষ থেকে স্থগিত করেই রাখা হয়েছে।