জাতীয় ক্রীড়ানীতির আওতায় বিসিসিসিআই, আগষ্ট মাস থেকে বদল একাধিক নিয়ম
নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই - জাতীয় ক্রীড়ানীতি বদল নিয়ে কয়েকদিন আগেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইসময় ভারতের খেলাধুলার পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়। তবে এবার জাতীয় ক্রীড়ানীতির আওতায় আসতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আগষ্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বদল হতে পারে একাধিক নিয়ম।
সূত্রের খবর, আগামী ১২ই আগষ্ট বিল পাশ হয়ে যাবে। তখনই শুরু হবে জাতীয় ক্রীড়ানীতি। বিসিসিআই এই নীতির অধীনে এলে একাধিক পরিচালন ব্যবস্থায় বদল আসতে চলেছে। বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড স্বশাসিত সংস্থা হওয়ায় কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল নয়। তবে জাতীয় ক্রীড়ানীতির আওতায় এলেই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে বিসিসিআইকে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন নিয়মগুলি -
১.ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যরা অর্থাৎ যাদের ভোটাধিকার আছে তাদের ১০ শতাংশের বেশি খেলোয়াড় হতে হবে। এখন বর্তমান বা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার নেই।
২.বিসিসিআই থাকবে স্পোর্টস ট্রাইবুনাল এবং স্পোর্টস বোর্ডের অধীনে।
৩.বোর্ডের পদে থাকার বয়সসীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে। ৭০-৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে হয়ত বোর্ডের পদে থাকতে পারবেন না কোনো সদস্য।
৪.নয় জনের অ্যাপেক্স কাউন্সিলে বর্তমানে থাকে দুই জন ক্রিকেটার। নতুন নিয়মানুযায়ী থাকবেন চারজন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
৫.বর্তমান নিয়মানুযায়ী মোট ৬ বার বোর্ডের পদে থাকতে পারেন কোনো সদস্য। সেই মেয়াদ বাড়তে পারে। অর্থাৎ মোট ৮ বছর বোর্ডের পদে থাকতে পারবেন। যদিও মাঝে বোর্ডের পদ থেকে চার বছরের জন্য বিরতিতে থাকতে হবে।
৬ সিএসআর এর সুবিধা পেতে পারে বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে স্পন্সরশিপ ও অনুদানের ক্ষেত্রেও সুবিধে আদায় করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।