সৌভাতৃত্বের বন্ধন, রাখীতে মাতোয়ারা নদীয়া
নিজস্ব প্রতিনিধি, নদীয়া - সারা দেশে আজ পালিত হচ্ছে রাখীবন্ধন উৎসব। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ব বজায় রাখতে মানুষ একে ওপরের হাতে বেঁধে দিচ্ছেন রাখী। এরকমই একটি চিত্র ধরা পড়লো নদীয়া জেলার একাধিক এলাকায়। যেখানে পুলিশ থানার তরফ থেকে শুরু করে পৌরসভা, সাধারণ মানুষ সবাই একে ওপরের হাতে বেঁধে দিচ্ছেন রাখী।
সূত্রের খবর, শনিবার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অধীনস্ত নবদ্বীপ পুলিশ থানার উদ্যোগ্যে নবদ্বীপ রাধাবাজার মোড়ে পালন করা হয় রাখীবন্ধন উৎসব। এদিন প্রায় তিনশো জন মানুষের হাতে পড়ানো হয় রাখী। এছাড়াও কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের অন্তর্গত ধুবুলিয়া থানা এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে সাধারণ পথ চলতি মানুষের মধ্যে লিফলেট বিলি করার পাশাপাশি পথ চলতি মানুষ ও বাইক আরোহীদের হাতে রাখী পড়িয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন পুলিশ কর্মীরা। এছাড়াও বাইক আরোহীদের সব সময় হেলমেট ব্যবহার করার উপদেশ দেন তারা। পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে চলার আবেদন জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে এদিন শান্তিপুর ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে, পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে টোটো চালক, গাড়ি চালকদের হাতে রাখী বেঁধে পালন করা হয় রাখীবন্ধন উৎসব। এছাড়াও শান্তিপুর পৌরসভার তরফ থেকে এদিন পৌরসভার সন্নিকটে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎযাপিত হয় এই উৎসব। যেখানে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের হাতে রাখী পড়িয়ে আলিঙ্গন করেন। অপরদিকে এদিন বিজেপি রাজ্য দপ্তরের মহিলা মোর্চা রাখীবন্ধন উৎসবে রাখী পরালেন শুভেন্দু অধিকারকে। সেই সঙ্গে অভয়ার স্মৃতিতে করলেন ১ মিনিট নীরবতা পালনও।
ধুবুলিয়ার ট্রাফিক পুলিশ এস এই সুমন কুমার বণিক পথ চলতি মানুষকে রাখী পড়ানোর প্রসঙ্গে বলেছেন, "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন প্রথম রাখীবন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন, তখন তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসব পালন করেছিলেন। পুলিশও জাতি, ধর্ম, বর্ণের উর্ধে। আমরা প্রত্যেককে রাখী পড়িয়ে বলতে চাইছি আমরা সাধারণ মানুষের পশে আছি। এবং সবাইকে লিফলেট দিয়ে বোঝাতে চাইছি যাতে তারা ট্রাফিক আইন মেনে সাবধানে গাড়ি চালান। তাহলে আমরা রাস্তায় এক্সিডেন্টের সংখ্যা কম করতে পারবো।"