স্কুলের বাথরুমে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ , অভিভাবকদের ডেকে মিটমাট করানোর প্রস্তাব প্রিন্সিপালের
নিজস্ব প্রতিনিধি , দার্জিলিং- ফের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ। শিলিগুড়ি শহরের একটি নামী প্রাথমিক স্কুলে নির্মম অত্যাচারের শিকার হয় এক তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনায় মুল অভিযুক্ত স্কুলের সাফাইকর্মী। ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় অভিভাবকেরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই নোংরা ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, সোমবার ওই ছাত্রীকে শৌচালয়ে যৌন হেনস্থা করে স্কুলেরই এক সাফাইকর্মী। ছাত্রীটি পুরো বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে তার ক্লাস শিক্ষিকাকে জানায়। এরপর স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের ডেকে মধ্যস্ততা করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তবে ঘটনাটি জানাজানি হতেই এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। অভিভাবকেরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ও পুলিশের হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
ঘটনার খবর পেয়ে প্রধাননগর থানার পুলিশ স্কুলে পৌঁছে অভিযুক্ত সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরা। কেন পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
স্কুলের প্রিন্সিপাল রণবীর পুরকায়স্থ এবিষয়ে বলেছেন, ''বাচ্চাটি এবং তাঁর অভিভাবকের থেকে বিস্তারিত শোনা হয়েছে তারপর সাইফাইকর্মীকে ফোন করা হয়, তাঁর স্ত্রী ফোন ধরেন এবং সাইফাইকর্মীকে আসতে বলা হয়। পরেরদিন সে আসলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।''
কিন্তু এবিষয়ে স্কুলের অন্যান্য অভিভাবকদের দাবি, ''অভিযুক্তের যেন যথাযথ সাস্তি হয়। অভিভাবকদের চাপে পরে প্রিন্সিপাল এফআইআর করেছেন। স্কুলের গাফিলতির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিভাবকরা চাইছেন অবিলম্বে প্রিন্সিপালের অপসারণ হোক।''