টোল প্লাজা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অভিযোগের তীর একে অপরের দিকে
নিজস্ব প্রতিনিধি , পশ্চিম বর্ধমান - টোল প্লাজা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। পঞ্চায়েত প্রধান ও টোল প্লাজার তৃণমূলের ইউনিয়নের কর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তোলে। ঘটনা কে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় অঞ্চলে।
সূত্রের খবর , বুধবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের বাঁশকোপা টোল প্লাজায় দাদাগিরি করে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য পান্না ঘোষ। অভিযোগ, 'টোলের কর্মী ছাড়া কেউ টোল প্লাজার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না এই সিদ্ধান্তই গ্রহণ করা হয়েছিল।' ঘটনা হাতাহাতি থেকে শুরু করে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যের এই হস্তক্ষেপের কারণে ক্ষুব্ধ টোল প্লাজার বাকি কর্মীগণ। আপাতত কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পান্না ঘোষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ঘটনা প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল তৃণমূল টোল প্লাজার ওয়ার্কার ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি পূরণ বিশ্বাস বলেন, "এর আগেও উনি এখানে এসে দাদাগিরি করেছিল। অচিন্ত কুমার দত্ত নামে এক কর্মীকে এক বছর আগে মারধরও করা হয়। আমরা সবাই একই দল করি। কিন্তু উনি এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।"
পাল্টা টোল প্লাজার আর এক কর্মী অভিজিৎ ঘোষ অভিযোগ করেন, "পূরণ বিশ্বাস ও কৌশিক সরকার দুজনেই ডিউটিতে ফাঁকি দেন। ৮ ঘন্টা ডিউটি হলে ওনারা ৬ ঘন্টা ডিউটি করেন। যেদিন আসেন না সেদিনের উপস্থিতিও পড়ে যায়। বাকি কর্মীদের কোন সহযোগিতা করেন না।"
প্রসঙ্গত, এর আগের বছরও এই বাঁশকোপা টোল প্লাজা নিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়। তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন টোল প্লাজার কর্মীরাই এই চত্বরের দেখাশোনা করবে। বাইরের কেউ এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না।