রেলগেটে আটকে মৃত্যু তরুণীর, উড়ালপুলের দাবিতে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

নিজস্ব প্রতিনিধি , পশ্চিম মেদিনীপুর - গত ৩০ শে জুলাই ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন রেল গেটে আটকে পরে মৃত্যু হয় দোলন ঘোষ নামের এক তরুণীর। ঘটনায় সোচ্চার স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার স্থানীয় পূর্বাশা ক্লাব ও এলাকার বাসিন্দাদের তরফ থেকে করা হয় গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান। ঘটনায় উড়ালপুল নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে কদমকানন রেল গেটে প্রায় ২০ মিনিট আটকে থেকে মৃত্য হয় বাছুরডোবা এলাকার বাসিন্দা দোলন ঘোষের। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি কিডনির অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ঝাড়গ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চলছিল তাঁর ডাইলোসিস। গত বুধবার গভীর রাতে তাঁর শ্বাসকষ্ট হলে তাঁকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল কিন্তু রেলগেট বন্ধ থাকায় ২০ মিনিট আটকে থাকতে হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার উড়ালপুলের দাবিতে স্থানীয় পূর্বাশা ক্লাব ও এলাকার বাসিন্দাদের উদ্যোগে গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান করা হয় রেল গেট সংলগ্ন এলাকায়। একটি কনভেনশনের পর সিদ্ধান্ত হয় এই গন স্বাক্ষর সম্বলিত দাবিপত্র তুলে দেওয়া হবে ঝাড়গ্রামের স্টেশন ম্যানেজার এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএমের কাছে। 

উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রাম শহরের ওপর দিয়ে গেছে খড়গপুর টাটা শাখার রেল লাইন। দূররপাল্লার ট্রেন শুধু নয় একাধিক মালগাড়িও এই লাইনের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। তার জেরে দীর্ঘ সময় ধরে রেলগেট পড়ে থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। বাঁধগোড়া, রাধানগর, সহ পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের মানুষকে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হতে হয় এই রেলগেটের জন্যে।

এই বিষয়ে পূর্বাশা ক্লাবের সম্পাদক শিবাশিস চ্যাটার্জি বলেছেন, "৩০ জুলাই ভোর ৪ টের সময় একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এর আগেও এখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে তবে বুধবারের ঘটনাটি মর্মান্তিক। অসুস্থ ওই মহিলার পরিবার অনেকবার অনুরোধ করার পরেও গেট খোলা হয়না। একটু সহানুভূতি যদি দেখানো হতো তাহলে আজ ওই মহিলা বেঁচে থাকতেন। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তাই আমরা আজ উড়ালপুল নির্মাণের দাবিতে গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান করছি।"